ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে, যা পূরণ না করলে পশু টি দ্বারা কুরবানী করা যাবে না। নিচে সেসব পশুর বৈশিষ্ট্য বা অবস্থা তুলে ধরা হলো যেগুলো দিয়ে কুরবানী করা জায়েয নয়:
যেসব পশু দিয়ে কুরবানী করা যাবে না:
1. অন্ধ পশুর – যার এক চোখ বা উভয় চোখ অন্ধ।
2. অত্যন্ত রোগাক্রান্ত পশুরপশুর – যার অসুস্থতা স্পষ্ট, যেমন হাঁটতে পারে না, চরম দুর্বল, ইত্যাদি।
3. ল্যাংড়া পশুর– যে পশু হেঁটে কুরবানির স্থানে যেতে অক্ষম।
4. অর্ধেক বা অধিক কান কাটা – কানের বড় অংশ কাটা থাকলে।
5. লেজ বা শিং সম্পূর্ণ কাটা – স্বাভাবিকভাবে না জন্মে থাকলে সমস্যা নেই, কিন্তু কেটে ফেলা হলে কুরবানী জায়েয নয়।
6. দাঁত পড়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া পশুর – যদি অধিকাংশ দাঁত পড়ে যায়।
7. চরম দুর্বল পশু – যা হাড়ে পরিণত হয়ে গেছে এবং গোশত নেই বললেই চলে।
8. পাগল বা বোকা পশু – যে পশু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বা অস্বাভাবিক আচরণ করে।
9. জন্মগত ত্রুটিযুক্ত পশুর – যদি এমন ত্রুটি থাকে যা তাকে অস্বাভাবিক বা দুর্বল করে তোলে।
কুরবানির জন্য উপযুক্ত পশুর সাধারণ শর্ত:
গরু, ছাগল, ভেড়া, উট – এই চার প্রকার পশুর কুরবানির জন্য বৈধ।
নির্দিষ্ট বয়স হতে হবে:
উট: অন্তত ৫ বছর পূর্ণ
গরু/মহিষ: অন্তত ২ বছর পূর্ণ
ছাগল/ভেড়া: অন্তত ১ বছর পূর্ণ (কিন্তু যদি ৬ মাস পূর্ণ ভেড়া এত মোটা-তাজা হয় যে একবছরের মতো দেখায়, তাহলে কুরবানি করা জায়েয)
সুস্থ, হালাল খাবার খাওয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।